Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

প্রশ্নোত্তর ফাল্গুন-১৪২১

মোসা. রোজিনা

লালমনিরহাট
প্রশ্ন : কুমড়া ও লাউজাতীয় ফসলে মাছি পোকা দমনে বিষটোপ তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাই।
উত্তর : কুমড়া ও লাউজাতীয় সবজি ক্ষেতে বিষটোপ ফাঁদ ও কিউলিওর (সেক্স ফেরোমন) ফাঁদ  পাশাপাশি ব্যবহার করলে সবচেয়ে কার্যকরভাবে এ পোকা দমন করা যায়।
 
বিষটোপ ব্যবহার পদ্ধতি : ১০০ গ্রাম মিষ্টিকুমড়া কুচি কুচি করে কেটে তা থেঁতলিয়ে ১ চিমটি পরিমাণ সেভিন ৮৫ ডব্লিউপি পাউডার এবং ১০০ মিলি. বা প্রায় আধা পোয়া পানি মিশাতে হবে। তারপর মিশ্রণটি ছোট একটি মাটির পাত্রে রেখে তিনটি খুঁটির সাহায্যে এমনভাবে স্থাপন করতে হবে যাতে বিষটোপ পাত্রটি মাটি থেকে ০.৫ মিটার বা দেড় হাত  উচুঁতে থাকে। বৃষ্টি বা রোদে বিষটোপ যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য খুঁটি তিনটির মাথায় অন্য একটি বড় আকারের চ্যাপ্টা মাটির পাত্র দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বিষটোপ তৈরির পর শীতের দিনে ৭ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করে তা নিরাপদ জায়গায় ফেলে দিয়ে আবার নতুন করে বিষটোপ ব্যবহার করতে হবে।
 
সোহেল খান
মুন্সীগঞ্জ
প্রশ্ন : আলু গাছের পাতা কোঁকড়ানো ও পাতা হালকা হলুদ রঙের হয়েছে। প্রতিকারের উপায় কী?
উত্তর : আলু ফসলের ভাইরাস রোগের মধ্যে আলুর পাতা মোড়ানো (PLRV) অন্যতম। অধিকাংশ ভাইরাস রোগ জাবপোকার মাধ্যমে গাছ থেকে গাছে ছড়ায়।
 
মো. ইমরান
পাইকগাছা, যশোর
প্রশ্ন : আম গাছের মকুল যাতে ঝরে না পড়ে তার জন্য কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।
উত্তর : মুকুল আসার সময় শোষক পোকা (হপার) এবং অ্যানথ্রাকনোজ রোগের আক্রমণে ফুল ঝরে যায়।
আম বাগান সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। আমের মুকুল এসেছে কিন্তু ফুল ফোটার আগে অর্থাৎ পুষ্প মঞ্জুরি ছড়ার দৈর্ঘ্য ৫-১০ সেন্টিমিটার হয় তখন প্রতি লিটার পানিতে সাইপারমেথ্রিন (রিপকর্ড/সিম্বুশ) ১০ ইসি ১ মিলি. এবং টিল্ট ২৫০ ইসি ০.৫ মিলি. হারে মিশিয়ে একবার এবং তার একমাস পর আরেকবার গাছের পাতা, মুকুল ও ডালপালা ভালোভাবে ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
 
আবু হানিফ
ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন : গম গাছের পাতায় মরিচার মতো বাদামি বা কালচে রঙের দাগ দেখা যায়। এর প্রতিকার কী?
উত্তর : এক ধরনের ছত্রাকের আক্রমণে গমের পাতায় এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগের লক্ষণ প্রথমে নিচের পাতায় তারপর সব পাতায় ও কাণ্ডে দেখা যায়। দেশের উত্তরাঞ্চলে এ রোগ বেশি হয়ে থাকে।
১। সুষম হারে সার প্রয়োগ করতে হবে।
২। রোগ প্রতিরোধী গমের জাত আকবর, অগ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ ও গৌরব চাষ করতে হবে।
৩। প্রপিকোনাজল জাতীয় ছত্রাকনাশক টিল্ট ২৫০ ইসি (০.০৪%) ১ মিলি. আড়াই লিটার পানিতে মিশিয়ে ১২-১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
প্রতিকার
১। সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে এবং রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে।
২। আক্রান্ত গাছ টিউবারসহ তুলে ফেলতে হবে।
৩। টমেটো, তামাক ও কিছু সোলানেসি গোত্রভুক্ত আগাছা এ ভাইরাসের বিকল্প পোষক। তাই আশপাশে এ ধরনের গাছ রাখা যাবে না।
৪। কীটনাশক ১ মিলি. এডমায়ার প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর জমিতে স্প্রে করতে হবে।
 
মো. রাজীব হোসেন
সাতক্ষীরা
প্রশ্ন : ভুট্টা গাছের পাতা হলুদ হয়ে গেছে। পাতা পোড়া পোড়াভাব হয়েছে। করণীয় কী?
উত্তর : ছত্রাকের আক্রমণে ভুট্টা গাছে এ রোগ দেখা দেয়। রোগের প্রকোপ বেশি হলে পাতা আগাম শুকিয়ে যায় এবং গাছ মরে যায়।
 
প্রতিকার
১। রোগ প্রতিরোধী জাতের (মোহর) ভুট্টা বীজ চাষ করতে হবে।
২। আক্রান্ত ফসলে ছত্রাকনাশক টিল্ট ২৫০ ইসি (০.০৪%) ১৫ দিন পরপর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।
৩। ভুট্টা উঠানোর পর জমি থেকে আক্রান্ত গাছ সরিয়ে বা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
 
জহিরুল ইসলাম
টাঙ্গাইল
প্রশ্ন : খাঁচায় তেলাপিয়া মাছের ক্ষত রোগ। প্রতিকারের করণীয় কী?
উত্তর : সাধারণত শীতকালে বিভিন্ন রকম ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে মাছের ক্ষত বা পচন জাতীয় রোগ হয়ে থাকে। তাছাড়া খাঁচায় মাছের জন্য অতিরিক্ত খাবার সরবরাহ, মাছের অধিক ঘনত্ব, অক্সিজেন সরবরাহ কম ইত্যাদি কারণে এ ধরনের রোগ হয়ে থাকে।
 
১. মাছকে পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট মিশ্রিত পানিতে গোসল করাতে হবে।
২. খাঁচায় অধিক পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হবে,
৩. খাঁচায় মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে,
৪. খাদ্য সরবরাহ কমাতে হবে,
৫. নেট পরিষ্কার রাখতে হবে,
৬. অ্যান্টিবায়োটিক ডোজ বাড়াতে হবে,
৭. খাঁচাগুলো সারিবদ্ধভাবে না রেখে আঁকাবাঁকা করে রাখা যেতে পারে।
 
আব্দুল কাদের
ঠাকুরগাঁও
প্রশ্ন : পুকুরে প্রচুর রাক্ষুসে মাছ আছে, এজন্য কী করব?
উত্তর : পুকুর শুকিয়ে ফেলতে হবে বা জান টেনে রাক্ষুসে মাছ তুলে ফেলতে হবে।  ঘন মেস সাইজের জাল বার বার টানতে বলা হয় অথবা রটেনন ওষুধ দিতে  বলা হয়। রটেনন পাউডার ৩৫-৪০ গ্রাম প্রতি শতকে প্রয়োগ করতে হবে। রটেননের ২/৩ অংশ পানির সাথে মিশিয়ে এবং ১/৩ অংশ ছোট বল করে ছিটিয়ে দিতে হবে। ফসটক্সিন/কুইকফস ট্যাবলেট ২টি করে প্রতি শতকে ২-৩ ফুট গভীরতার পানিতে এবং ৩টি ট্যাবলেট প্রতি শতকে আরও অধিক গভীরতার পানিতে মাছ চাষের আগে দিতে হবে। এর ২ সপ্তাহ পরে রেণু ছাড়তে হবে।
 
রবিউল ইসলাম
মো. রুবেল মিয়া
ঝিনাইদহ
প্রশ্ন : পানির পিএইচ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়?
উত্তর : পুকুর বা খামার তৈরির সময় চুন ১ কেজি/শতক হারে ৩-৫ ফুট পানির গভীরতায় প্রয়োগ করতে হবে। মজুদ পরবর্তীতে ২৫০-৫০০ গ্রাম/শতক হারে প্রয়োগ করতে হবে। পানির পিএইচ পরীক্ষা করে যদি ৬ এর নিচে থাকে প্রতি শতাংশে ১ কেজি হারে পাথুরে চুন প্রয়োগ করতে হবে।
চুনের পরিবর্তে ডিওটক্স/জিওলাইট ২৫০ গ্রাম/শতাংশ প্রয়োগ করা যেতে পারে।
 
এছাড়াও বায়োকেয়ার প্রতি ৭ দিন অন্তর ৮০-১২০ মিলি./শতক হারে দিতে হবে প্রতিষেধক হিসেবে। আর নিরাময়ের জন্য পর পর ২ দিন ১২০-১৬০ মিলি./শতক হারে প্রয়োগ করতে হবে।
 
মোহাম্মদ রনি
নড়াইল
প্রশ্ন : মাছকে কী পরিমাণ খাবার দিতে হবে?
উত্তর : পুকুরে মাছের ওজনের ৩% থেকে ৫% হারে ২ বার সকালে ও বিকালে খাবার দিতে হবে। অর্থাৎ পুকুরে ১০০ কেজি মাছের জন্য ৩-৫ কেজি খাবার দিতে বলা হয়। চিংড়ি দিনের বেলায় খায় না, রাতে খাবার দিতে হবে। পুকুরের তলায় ট্রেতে অথবা ছালায় করে খাদ্য দিতে হবে।
 
তবে পিলেট খাবার ১০০ কেজি মাছের জন্য ৫ কেজি হারে দেয়া যেতে পারে। এসিআই ও সিপি এর পিলেট ফিড গুণগতমানসম্পন্ন ও চিংড়ির জন্য ভালো।
 
স্থানীয়ভাবে  খৈল ৪০%, চালের কুঁড়া (ব্রান) ৩০%, ভুট্টা গুঁড়া/গমের ভুসি ২০%, ফিশ মিল ৯%, ভিটামিন/মিনারেল ১% হারে সামান্য আটা ও পানি মিশিয়ে সম্পূরক খাবার তৈরি করে দেয়া যায়।
 
রবিউল ইসলাম
নোয়াখালী
প্রশ্ন : গরুর আঠালি হয়েছে। কী করণীয়?
উত্তর : দুগ্ধবতী গাভী অথবা বকনাগাভীকে নিয়মিত জীবাণুনাশক দ্বারা গোসল করাতে হবে। গোসল শেষে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে যেন লেজের গোড়ায় পানি না জমে। এছাড়া দুগ্ধবতী গাভীকে আঠালি থেকে মুক্ত রাখার জন্য সকাল-বিকাল সব শরীর ভালোমতো চিরুনি বা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে।
 
ইঞ্জেকশন  Ivermectin প্রতি ৫০ কেজি ওজনের জন্য ১পপ চামড়ার নিচে দিতে হবে।
 
আহসান হাবীব
গাইবান্ধা
প্রশ্ন : গাঁট ফোলা রোগে করণীয় কী?
উত্তর : জীবাণুর সংক্রমণ রোধে সালফার ড্রাগস কিংবা অক্সিটেট্রাসাইক্লিন জাতীয় ড্রাগস ব্যবহার করতে হবে।
- ব্যথার জন্য ব্যথানাশক ইঞ্জেকশন মাংসপেশিতে দিতে হবে।
- পাশাপাশি যে কোনো একটি অ্যান্টিহিস্টামিনিক ইঞ্জেকশন দিতে হবে।
- করটিকোস্টেরয়েড ইঞ্জেকশন দিলেও ভালো সুফল পাওয়া যায়।
 
শারমীন ইসলাম
রংপুর
প্রশ্ন : ছাগলের নিউমোনিয়া রোগে করণীয় জানালে খুশি হব।
উত্তর : সালফার ড্রাগ ইঞ্জেকশন প্রথমদিন ডাবল ডোজ শিরায় এবং পরের দিন থেকে অর্ধেক ডোজ করে ৩-৪ দিন মাংসে দিতে হবে।
 
- অথবা, এমোক্সিসিলিন কিংবা অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ইঞ্জেকশন দেয়া যাবে।
- অ্যান্টিবায়োটিকের পাশাপাশি অ্যান্টিহিস্টামিনিক ইঞ্জেকশন দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
 
 
কৃষিবিদ মোহাম্মদ মারুফ
* কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, কৃষি তথ্য সার্ভিস, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, মোবাইল : ০১৫৫২৪৩৫৬৯১
 

COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon